অগ্নিচিতা
আয়নার সামনে দাঁড়ালেই দেখতে পাবে
তোমার দীর্ঘ কালো চুলে কার যেন স্পর্শ
লেগে আছে।
মরীচিকা মনের গহিনে মুঠো মুঠো অবহেলা,
ঠোঁটের কার্নিসে বিদ্রুপের হাসি দেখেও
চমকে উঠবে না তুমি; কারণ তুমি বোধহীন ছলনা—
মায়া মরীচিকা!
তুমি হেঁটে যাও যে পথে সে পথে মায়াবী
জোছনা খেলা করে।
প্রেমিক পুরুষ তোমার আগুনে আত্মাহুতি
দেয়
তোমার কোনো কোনো ইশারায় ঘর ছেড়ে
নতুন ঘরের সন্ধানে নেমে পড়ে কেউ কেউ;
পতঙ্গের মতো পোড়ে তোমার অগ্নিচিতায়।
জীবনের কোনো হিসাব নেই, নিকাশ নেই—বেহিসেবি
সময় বৈরী হয় রমণের আকাক্সক্ষায়;
রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাতাসে ভর করে
উড়ে যায় গাংচিল;
ডানা ভেঙে যায়, তবুও ওড়ার কৌতূকে মেতে ওঠে!
জীবন বড্ড বেহিসেবি, বড্ড অস্থির আর
তুমি অরিস্থরতার সোপান!
তোমাতে আত্মাহুতি দিতে মন চায়—
পরাজিত হতেও ভালোলাগে...
পুরুষের সহজাত স্বভাবে পুরুষ নত নারীর
কাছে!
এবার সিঁথির দিকে তাকাও, কী দেখো—বিদ্যুতের চমক,
নাকি লাল কাঁকর বিছানো পথ?
না কি কালো কুন্তলের অন্ধকারে ধূসর
কোনো জমিন
খুঁজে পাও অবিরত!
তোমার দৃষ্টি ঠিক নেই; ভুলভাল দেখো তুমি—
ভুল ঠিকানায় তোমার সন্তরণ!
গন্তব্য হারিয়ে যাযাবর তুমি—তুমি
চিরকালের অগ্নিচিতা!
কাব্যগ্রন্থ : কখনো বসন্ত কখনো বেহাগ