কখনো বসন্ত কখনো বেহাগ
বদলে যাচ্ছি একটু একটু করে
স্পর্শের আশায় দুচোখের পাতা এক হয়নি
কত কাল ধরে!
পাইনি বলে কতশত অনুুযোগে—অভিমানে আহত
করেছি তোমাকে—
তোমার ভাষায় ‘অযাচিত কারণে’!
এখন সেসব পুরোনো কেবলই স্মৃতির
রোদছায়া।
যাচিত স্বপ্ন যখন পাণ্ডুর মেঘে ঢাকা,
যখন ইচ্ছের বাতিঘর ডুবে যায় নোনা জলে,
তখন তো এসব অযাচিত মনে হয়নি কোনোকিছু।
যুদ্ধ আর প্রেমের নিয়মে
ন্যায়—অন্যায়কে তুড়ি মেরে
উড়িয়ে দিয়েছিলাম বীরদর্পে।
স্বপ্নের ফানুস ছিঁড়ে ফেলতে দ্বিধা
হয়নি এতটুকু!
স্বাধীন ছিলাম, নাকি পরাধীন হলাম কবেÑ কে তা জানে!
এখন ক্লান্ত—পরিশ্রান্ত স্বাধীনতাহীনÑঅন্য এক মানুষ আমি;
না—প্রেমিক, না—যোদ্ধা, না সংসারত্যাগী ধ্যানী—ঋষি।
একটু—একটু বদলে যাওয়া এই আমি প্রতিদিন
আয়নায়
নিজের প্রতিবিম্ব দেখে অঁাতকে উঠে
ভাবি—
এই মানুষটা তোমার হতে চেয়েছিল একদিন!
আজ সেসব অতীত-স্বপ্নভুক প্রেমিক
একটু একটু করে বদলে গেছি তোমারই কারণে।