অভিমানের কড়চা
‘গ্রাম ছাড়া ওই রাঙামাটির পথ, আমার মন ভুলায় রে!’
যান্ত্রিক এই নগ্ন শহরে!
পিছনে রইল পড়ে ধানখেত, বয়সী কাঁঠাল গাছের ছায়া,
নারকেল গাছের কোটরে টিয়া পাখি,
কাঠঠোকরা,
দোয়েল;
গাবের ঘন পাতার নিচে ঘুঘুÑসব কিছু ছেড়ে
এক ঔন্দ্রজালিক হাতছানিতে পথ ভুলে
সমর্পণ করেছিলাম নিজেকে শঙ্কাসংকুল এক
অন্ধকার গহ্বরে!
এই শহরে দুঃস্বপ্নের সরীসৃপ ঢুকে
পড়েছে
লক্ষ্মীন্দরের বাসরেÑএসব পুরানো কথা!
জঞ্ঝা—আবর্তে বেসামাল বাতিঘরহীন নাবিক
এখনও ‘দাঁড় টানি মাস্তুলে’,
উজান পথে চেনা মুখগুলি মনে পড়ে আজ
বিষণ্ণ সন্ধ্যা—সংগীতে!
বাতাসে শুনি ভৈরবী, মৃদঙ্গের তালে তালে বুকের
পাঁজরে বাজে তার শঙ্খধ্বনি!
অন্ধকার রাতে বাতাবি ফুলের ঘ্রাণ ভেসে
আসে
দক্ষিণ বাতাসে,
ঝিঁঝিপোকার ঝাড়বাতি জ্বলে আর নেভে;
নিভে নিভে জ্বলে সারারাত ধরে
মস্তিষ্কের নিউরনে!
বৃষ্টিতে ভেজা দুরন্ত কিশোরীর কাজল চোখ
ভেসে ওঠেÑ
হারিয়ে যাই তার নূপুর—নিক্বণে!