ভ্রান্তির কাঁটাতার

আজ সারাটা দিন ছিল বিদঘুটেÑঅন্ধকার।

কে যেন একরাশ উশকোখুশকো চুলে পেলব মুখশ্রী ঢেকে

খুব বিদ্রুপ করেছিল বসন্ত বাতাসকে!

বসন্ত তার মুখ লুকালে কোকিল পঞ্চমী সুর ভুলে

মগডালে অভিমান করে মুখ লুকিয়েছিল নিজের আস্তিনে।

আজ এমন অভিশপ্ত দিনে তোমার রাজসিক উপস্থিতি থেকে

বঞ্চিত আমি খুব মন খারাপ করা গানের সুরে কেঁদেছিলাম;

কেঁদেছিলাম খুব নির্জনে একাকী—!

 

আমার বুকের মধ্যে একগুচ্ছ হাহাকার নিয়ে কতবার যে

তোমার দুয়ারে দাঁড়িয়েছি,

কতবার দরজায় আঙুলের টোকা দিয়ে

তোমাকে ডেকেছি প্রাণপণে—

সেসব কথা কবিতার খাতায়ই শুধু শোভা পায়,

কাউকে বলা যায় না কোনো ছলে!

সত্যি এ এক দুঃসহ কষ্ট, কাউকে বোঝানো যায় না

এর তীব্রতা কতটা বিষাক্ত!

 

আজ এই পড়ন্ত বিকেলে সেসবের জন্য কোনো সময়

বেঁধে দেয়নি কেউ;

তাই খুব বেমানান বেরসিক আমি

নিজের মধ্যে লুকিয়ে থেকেও

দুই কান উৎকীর্ণ করেছি—

কেউ আমায় কখনও ডেকে গেল কি না!

 

ভুল, সবই ভুল—এই ইচ্ছেঘুড়ি,

হাজার তারার আকাশে জম্পেশ আলোকসজ্জা,

দূরে—দূরে কোথাও বালুচরে ঘরবাঁধার দুঃস্বপ্ন, আরÑ

মোহাবিষ্ট রুপালি চাঁদের রাত,

উচ্ছল সকালÑসবই কল্পনার ফানুস!

ভুল, সবই ভুল—এই তৃষ্ণার্ত আকুতি!

তুমি আমি নিঃস্ব এই অলীক মরুভূমে নিঃসঙ্গ—একাকী!

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url