বিষাদ ছুঁয়ে যায় আমায়
তোমাকে কখনো বিষাদ ছোঁয়নি?
কখনো কারো নির্দয় বাক্যালাপে কেঁপে
ওঠোনি তুমি?
দিন শেষে রাতের অন্ধকারে নিজসত্তার
শিথিলায়নে ডুবে
নিজের বাড়ির আঙিনায় অলীক স্বপ্নে
বিভোর হওনি কখনো?
কখনো কি মৃত্যুর হিমশীতল আতঙ্কে
হিমাঙ্কের শেষ সীমানায় থেকে
ঈশ্বরে পায়ে মাথা ঠুকে বলোনি আরো একটি
জীবন চাও তুমি?
আরো একটা জীবন পেলে দুঃখ—কষ্ট তুচ্ছ
ভেবে
মানুষ হওয়ার দীক্ষা নেবে!
বলতে পারবে কতটা আয়ু পেলে মানুষ হওয়া
যায়?
এসব কিছু কি সম্ভব এই এক জীবনে?
বিষাদ আমাকে ছুঁয়ে যায় বারবার,
শতবার;
মৃত্যুর শীতলতায় হারিয়ে যেতে যেতে
আমারও
কুণ্ঠিত চিত্ত নিত্য কেঁপে ওঠে বিষাদে।
পৃথিবীর এই রোজনামচার নাম জীবনকে মেনে
না নিলেও
কার বা কিবা যায় আসে?
প্রত্যেকে ঈশ্বরের খেলার পুতুলÑএই মহাসত্য মেনে
শততার নামাবলি গায়ে দিয়ে মন্দিরে যাই,
মসজিদের দানবাক্সে নিজেকে উজাড় করে
দিই; আরÑ
বেহেশতী হুরের স্বপ্ন দেখি!
আবার এই আমিই রাতের নির্জনতায় নিজেকে
অভিসম্পাদিত করে
খুলে ফেলি আভরণ,
নিজের সামনে দাঁড়িয়ে লজ্জায় মাথা
ঠুকি, আর
ভাবি ঈশ্বর ক্ষমাশীল!
কী অদ্ভুত দ্বিচারিতা আমাদের!