শহর
যেদিকেই তাকাই শুধু শূন্যতা, প্রাচীন অন্ধকার আর
ধ্বংযজ্ঞ এই নগরীর বীভৎস রূপ!
একটিও হংসমিথুন নেই কোথাও, বউকথা কও,
ফিঙে, সোনালি
ডানার চিল এখন
প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস ছাড়া আর কিছু
নয়!
এই শহর খুব তামাটে, এখানে শ্যাওলাপড়া প্রাসাদ
প্রত্নতত্তের ঝাড়ফুঁকে হিজড়া—নৃত্যে
বেসামাল;
সাকির পেয়ালায় ঝড় ওঠে মধ্যরাতে!
কী এক অসহ্য জীবন আমাদের!
প্রতিদিন হাজারো দীর্ঘশ্বাস ছুঁয়ে
যায় জীবনের চেনাগলি
গভীর অন্ধকারে প্রেয়সীর প্রেতাত্মারা
খলবলিয়ে হাসে।
যৌবন বিকিকিনি হয় পাঁচশত—হাজার
টাকায়!
লাখ টাকায় ঝলসে ওঠে হেমাঙ্গিনীরা
কপট শহর জুড়ে শুধু মাতাল আর মাধবীর
আস্ফালনে
দিগ্ভ্রান্ত আমি তোমাকে খুঁজতে—খুঁজতে
যাযাবর জীবন নিয়ে হোঁচট খাই।
জীবনকে ভালোবাসি বলে কবিতার হকার যখন
লাখ লাখ সারমেয়—উচ্ছিষ্ট আমার মাথায়!
জামার আস্তিন খাঁমচে ধরে নগ্ননিষ্ঠুর
হাত;
পালাতে চাই না বলে উচ্চ করি শির
গলার ওপর উদ্যত খড়গ ঝলকায়
এই শহর কি আমার ছিল না কোনোকালে,
তোমরা কি কেউ নও আমার?