তোমাকে ভোলা কি এতই সহজ!
তোমার দেশ থেকে ছুটে আসে মেঘমালা—
খোঁপায় যার দোপাটি ফুলের বাহার,
আঁচলে মেঘনার ঢেউ; একরোখা—
চোখে সলতে পোড়ানো কাজল লেপ্টে দিয়েছে
কেউ!
সতীন কাঁটায় রক্তাক্ত হৃৎপিণ্ড—
তোমাকে মনে পড়েÑমনে পড়ে বঁইচি বনে চাতকী বিহার!
তুমি কেমন ছিলে যেন...ভাবতে—ভাবতে
মেঘগুলো অজানায় ভেসে যায়।
বাতাসে ভর করে মেঘের ঠিকানায় উড়ো
চিঠি
লিখেছিলাম রাত জেগে—জেগে সেই কবে!
তাসের ঘরের মতো কল্পনার ফানুস উড়ে
গেছে;
যেতে—যেতে পথ ভুল করে হোঁচট খেয়েছে
জীবনের সর্পিল পথে!
তবু কিছু স্বরলিপি অমলিনÑফিরে—ফিরে আসে
মেঘমাল্লারে, বাগেশ্রী—শিবরঞ্জনির প্রলাপে।
আকাশ আছে বলে জীবনের সপ্তডিঙা
ভাসাতে পারো মেঘের আদলে,
বাতাস আছে বলে অজানা কথার বাহার
ছুঁড়ে দিতে পারো তিরবেগে।
তিরন্দাজ তুমি চিরকাল, নিষ্ঠুর ঘাতকের মতো
জীবন—জীবন খেলতে গিয়ে হেসে উঠতে পারো;
তোমাকে ভোলা কি এতটাই সহজ!